আইফোন টেন নিয়ে বিস্তারিত(জানুন আইফোন টেন সম্পর্কে)
আইফোন টেন
কিন্তু আইফোন টেন হল This Is The Best iPhone Ever We Have Seen.আমরা সবাই iPhone 6,6s,7,8 এ একি রকম ডিজাইন দেখেছি। যাতে হোম বাটন ,সার্ফ কর্ণার ছিল চোখে পড়ার মতো।
কিন্তু আইফোন টেন হল All Screen iPhone.২০১৭ তে অনেকেই ব্যেজেল এস কন্সেফট এ তাদের ডিভাইস তৈরী করেছে। যেমন স্যামসাঙ, গুগল, শাওমি। আইফোন টেন এর অল স্ক্রীন ডিসপ্লে এর অনেক যায়গাই ছেড়ে দিতে হয়েছে।
কারণ সেখানে রয়েছে ক্যামেরা, উন্নতমানের সেন্সর। বুঝতেই পারছেন কতটা নতুন ফিচার থাকছে আইফোন টেন এ।
কিন্তু আপনি ও এর সাথে মানিয়ে নিতে পারবেন এটা বলা যায়। আইফোন টেন এর ফ্রেমটি স্টেইনলেস স্টিল এ তৈরি এবং পেছনে থাকছে গ্লাস।
আর এই ফান্ডামেন্টাল ডিজাইনটি করা হয়েছে ওয়ারলেস চার্জার ব্যাবহারের জন্য। ৫.৮ ইঞ্চি এই ফোনটি হাতে নিলে মনে হবে একটা আইফোন সেভেন হাতে নিয়েছেন। এবং এটা ব্যবহার করে আপনি অনেক কমফরটেবল ফিল করবেন।
তাছাড়া আইফোন টেন এর পাওয়ার বাটনটি বড় করে দেয়া হয়েছে। যেহেতু আইফোন টেন এ হোম বাটন থাকছে না তাই SIRI আন করার জন্য এটাকে লং প্রেস করতে হবে।
তাছাড়া নিচের দিকে থাকছে স্পীকার, মাইক্রোফোন কিন্তু থাকছে না কোন হেডফোন। আইফোন টেন পানির ১ ফিট এর নিচে আধা ঘন্টা থাকতে সক্ষম। আইফোন এর ডিসপ্লে দেখতে কালার পেপার এর মতো। ৫.৮ ইঞ্চি ডিসপ্লেটি সুপার এমুলেট।
স্ক্রীন এর সেফটির জন্য থাকছে ওলিওফোবিক কোটিন দেয়া ক্যাচ রেজিজটেন্স গ্লাস। স্ক্রীন এর রেজুলেশন ১১২৫ বা ২৪৩৬। পিক্সেল ডেনছিটি ৪০০৫৮ পিপিয়াই।
এটা থ্রীডি টাচ ও ট্রটোন ডিসপ্লে রয়েছে। আইফোন টেন এর ডিসপ্লে এতোটাই সার্ফ যে মনে হয় স্ক্রীন টাই দেখছি মাঝখানে কোন গ্লাস নেই।
এই আইফোন টেন এ হোম বাটন না থাকায় ব্যবহারকারী দের ব্যবহার করতে প্রথম দিকে একটু সমস্যা হবে। বারটি মাঝামাঝি নিয়ে আসলে পাওয়া যাবে মাল্টি টাস্কিং প্যানেল।
এছাড়া বারটি ডানে বামে সুইপ করলে রানিং অ্যাপ গুলতে অন করা যাবে। তাছাড়া নোটিফিকেশন ও কন্ট্রোল সেন্টার এ রয়েছে বেশ কিছু পরিবর্তন। ডান দিকের পোশনে সুইপ ডাউন করলে যাওয়া যাবে কন্ট্রোল সেন্টার এ আর বাম দিকের পোশনে সুইপ করলে যাওয়া যাবে নোটিফিকেশন সেন্টার এ।
স্ক্রীন শট নেয়ার জন্য চাপতে হবে পাওয়ার এবং ভলিউম ডাউন বাটন একসাথে।আইফোন টেন এ থাকছে
A11 বায়োনেকচিপ। তাছাড়া এতে থাকছে থ্রীকো গ্রাফিকস অ্যাপেল জিপিউ।
আইফোন টেন এ র্যম থাকছে থ্রী গিগাবাইট। তাছাড়া স্টোরেজ থাকছে ৬৪ কিংবা ২৬৪ গিগাবাইট। তাছাড়া এই ফোন এর ফেছ আইডি অনেক দ্রুত কাজ করে এবং যেকোনো লাইটিং কন্ডিশনে এটা কাজ করবে। এবং সেটআপ করাটাও অনেক সহজ।
ফেছ আইডি আইফোনে নতুন। যাদের হাত অনেক বেশি ঘেমে যার তাদের জন্য ফিঙ্গার প্রিন্ট সেন্সর এর থেকে ফেছ আইডি অনেক ভাল হবে।
আইফোন টেন এর ক্যামেরা সম্পর্কে
আর এখনো তো আইফোন টেন এর ক্যামেরার কথা বলাই হল না। মনে হয় আইফোন টেন এর ক্যামেরা নিয়ে খুব বেশি কিছু বলার প্রয়োজন হবে না। কিন্তু যারা মেগা পিক্সেল ছাড়া কিছুই বোঝেন না তাদের জন্য বলছি আইফোন টেন এর ক্যামেরা ১২ মেগা পিক্সেল।
কিন্তু ডুয়েল ক্যেমেরা সিস্টেমে থাকছে টেলিফটো লেন্স যাতে টু এক্স প্রজন্ত জুম করে ছবি তোলা যাবে। থাকছে পট্রেট মুড। রেয়ার ক্যামেরার মতো ফ্রন্ট ক্যামেরা দিয়েও ছবি তুলতে পারবেন।
তাছাড়া নতুন ফিচার হিসেবে থাকছে লাইটিং কন্ডিশন এড করা। আপনার ছবিতে ভিন্ন ভিন্ন লাইটিং এড করতে পারবেন
এছারা 4K ভিডিও ,সুপার স্লো মো কিংবা টাইম লেন্স তো থাকছেই। মোট কথা আইফোন টেন এ থাকছে অনেক সুন্দর কিছু নতুন ফিচার।
No comments