Header Ads

Header ADS

ইউজারদের বিশ্বাস অর্জনে কি করছে ফেসবুক? জানুন।



ইউজারদের বিশ্বাস অর্জনে কি করছে ফেসবুক?

ব্যবহারকারীদের বিশ্বাস অর্জন করতে চায় ফেসবুক। এর জন্য প্রতিষ্ঠানটি তথ্যের নিরাপত্তায় শত কোটি ডলার বিনিয়োগ করার কথা জানিয়েছে।

একই সাথে দাভোস এ প্রযুক্তির অপ্যব্যবহার ঠেকাতে এবং তথ্যের নিরাপত্তায় বৈশ্বিক নীতিমালা তৈরির আহ্বান জানিয়েছে মাইক্রোসফট এর প্রধান নির্বাহী।

বিশ্বের সবচেয়ে জনপ্রিয় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুক। যার ব্যবহারকারীর সংখ্যা ২০০ কোটির বেশি। গেল বছর Cambridge Analytica কেলেঙ্কারিতে প্রকাশ পায় প্রায় আট কোটি গ্রাহকের তথ্য চুরির ঘটনা।

যা বিশ্বাস যোগ্যতার সংকট তৈরী করে ফেসবুক এর ব্যবহারকারী থেকে শুরু করে বিনিয়োগকারীদের মধ্যে। যার প্রভাব পড়ে প্রতিষ্ঠানটির শেয়ারের দরেও।

মাত্র ছয় মাসেই পুঁজি বাজারে ফেসবুক দর হারিয়েছে প্রায় ৩৩ ভাগ। এমন অবস্থায় ফেসবুক ব্যবহারকারীদের আস্থা ফিরিয়ে আনার জন্য জোর দিচ্ছে। যা দাভোস সম্মেলনে তুলে ধরলেন প্রতিষ্ঠানটির প্রধান পরিচালন কর্মকর্তা।



ফেসবুক এর প্রধান পরিচালন কর্মকর্তা বলেন আমরা এক বছরে নিরাপত্তা ইস্যুতে বিলিয়ন ডলার বিনিয়োগ করেছি। আমরা জানি ব্যবহারকারীদের হারানো বিশ্বাস আবারো আমাদের ফিরিয়ে আনতে হবে।

তার মানে আমাদেরকে এটা প্রমান করতে হবে যে গ্রাহকের তথ্য এখানে সুরক্ষিত। এজন্য আমাদের এই সাইটে নির্বাচন থেকে শুরু করে মিথ্যা সংবাদের পরিবর্তে সঠিক তথ্য উপস্থাপনটাই সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ।

যেখানে গ্রাহকের তথ্য ভান্ডার সুরক্ষিত থাকবে সেইজন্য প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিচ্ছি  আমরা। শুধু গ্রাহক এবং ব্যবহারকারীদের তথ্যের সুরক্ষাই নয় এবার দাভোস সম্মেলনের বড় আলোচনা ছিল নতুন সব প্রযুক্তির ব্যবহার এবং তার নিরাপত্তা নিয়ে।



মোবাইল ফোন ও ইলেক্ট্রনিক ডিভাইসে চেহারা শনাক্তকরণ প্রযুক্তির ব্যবহার বাড়তে শুরু করেছে। এক্ষেত্রে প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠান গুলো এসব বায়োমেট্রিক তথ্যের ব্যবস্থাপনা কিভাবে করবে তার কোন নীতিমালা নেই।

যেমনটা বোলছিলেন মাইক্রোসফট এর প্রধান নির্বাহী। তিনি বলেন, চেহারা শনাক্তকরণ প্রজুক্তি এমন একটা প্রযুক্তি যা দ্রুত প্রসার লাভ করছে।

আমি অন্তত দশটি কারণ বলতে পারি যা মানুষের জীবনমান উন্নয়নের জন্য খুবিই গুরুত্বপূর্ণ। যেটা আমি এই মুহূর্তে অনুধাবন করছি তা হল বাজারে এক ধরণের প্রতিযোগীতা চলছে যেখানে চেহারা শনাক্তকরণ প্রযুক্তির ভালো কিংবা মন্দ ব্যবহারের মধ্যে পার্থক্য করা যায় না।

এজন্য আমরা আমাদের প্রতিষ্ঠান যেমন মাইক্রোসফট ঠিক করেছি যে আমরা এমন প্রযুক্তি তৈরী করবো যা কোন অপ্রত্যাশিত পরিণামের জন্য দায়ী হবে না।

যেটাকে আমরা বলছি নিজস্ব নিয়ন্ত্রণ।


No comments

Powered by Blogger.